Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

জরুরী রক্ত প্রয়োজন..?

http://www.donatebloodbd.com

http://call4blood.org

http://www.policebloodbank.gov.bd

http://blood.qm.org.bd

http://quantummethod.org.bd/blood-donation

http://www.bdbloodbank.com

 

মোবাইল ফোন সার্ভিস

 

রক্তের বিষয়ে বাংলালিংকের নিজস্ব সার্ভিস রয়েছে। যেকোন বাংলালিংক নাম্বার থেকে ৮০০৮ নাম্বারে ডায়াল করে নিকটস্থ ব্লাডব্যাংক, হাসাপাতাল এবং ডোনারের ইনফরমেশন পাওয়া যায়।

 

 

রক্তের প্রয়োজন হলে ফোন করুন:

নাম

যোগাযোগ

সন্ধানী ব্লাড ব্যাংক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা

৮৬২১৬৫৮

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখা

৯৬৬৮৬৯০, ৮৬১৬৭৪৪, ০১৮১৯-২৮৪৮৭৮

ঢাকা ডেন্টাল কলেজ শাখা

৯০১১৮৮৭, ৮০১৭১৪৬, ৯০০২০৩৫

বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ শাখা

৯১২৪৬১৯, ৯১১৮২০২; এক্স: ৪৩০

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ শাখা

৭৩১৯১২৩, ৯৬৬৮৬৯০, ০১৮১৯-২৮৪৮৭৮

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখা

০৯১-৫৪৮২৯

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শাখা

০৩১-৬১৬৬২৫

চট্টগ্রাম শাখা

৬১৬৬২৫

রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখা

৫২১৬৫১৮০

বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ

৬৪৪-৫১০০২৯৫

দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ শাখা

০৫৩১-৪৭৪৮

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ শাখা

০৭২১-৫২১৬৫১৮০, ০১৭২১-৭৭৩০৮০

খুলনা মেডিকেল কলেজ শাখা

০৪১-৭৬১৫০৯

সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ শাখা

০৮২১-৭১০৮৮০

বাঁধন ব্লাড ব্যাংক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, টিএসসি শাখা

৮৬২৯০৪২, ০১৭১১-০২৫৮৭৬

বুয়েট শাখা

০১৯১২-০৮২৯১৯

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা

০১৭১২-১৮০২৪৬

 

 

রেটিনা ব্লাড ব্যাংক

৯৬৬৩৮৫৩, ০১৬১৪-৬০৬৪১১

রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি

৯১১৬৫৬৩, ৮১২১৪৯৭

সন্ধানী ইন্টারন্যাশনাল আই ব্যাংক

৯১২৪৩৫৩, ০১১৯০-১৫১৪৮০

স্যার সলিমুল্লাহ কলেজ ব্লাড ব্যাংক

৭৩১৯১২৩

ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ব্লাড ব্যাংক

৮৩১৭০৯০, ৮৩২১৪৯৫

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন

৯৩৫১৯৬৯, ৮৩২২৯৮৭, ৯৩৪১৪৪১, ৮৩১৯৩৭৭

সন্ধানী ন্যাশনাল আই ডোনেশন সোসাইটি

৮৬১৪০৪০

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ

৬১৬৮৯১-৯৪, ৯৪৬১৬১৯৯

ফাতেমা বেগম রেড ক্রিসেন্ট ব্লাড সেন্টার, চট্টগ্রাম

০৩১-৬২০৬৮৫, ৬১২৩৯৫, ৬২০৯২৬

পোর্ট হাসপাতাল, চট্টগ্রাম

৫০২০২৪

রেলওয়ে হাসপাতাল, চট্টগ্রাম

৭২০১২১-৩৯

বেগম তোয়েবা মজুমদার রেড ক্রিসেন্ট ব্লাড সেন্টার, দিনাজপুর

০৫৩১-৬৪০২১

ব্লাড ব্যাংক, খুলনা

৭৬২০০৬

 

বাঁধন ব্লাড ব্যাংক

 

১৯৯৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টি,এস,সি’তে সর্ব প্রথম বাঁধন ব্লাড ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পুরো নাম বাঁধন বা লায়াস বাংলাদেশ।

 

 

ঠিকানা

বাঁধন, টি.এস.সি (নিচতলা),

(জোনাল অফিস), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

ফোন- ০২-৮৬২৯০৪২ ( সকাল ৬ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত)।

ই-মেইল- du@badhan.org

ওয়েব সাইট- www.badhan.org

 

কর্তৃপক্ষ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টি.এস.সি চত্বরে অবস্থিত  এটি একটি স্বায়ত্বশাসিত ও স্বেচ্ছাসেবী রক্তদান কেন্দ্র।

 

শাখা

এর সর্বমোট শাখা রয়েছে ৩২ টি। বাঁধনের শাখাগুলোর মধ্যে ১০ টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ২২ টি রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ পর্যায়ে।

 

রক্ত সংগ্রহের উ

এখানে রক্তের উৎস কেবলমাত্র স্বেচ্ছাসেবীদের দানকৃত রক্ত।

 

রক্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া

রক্ত সংগ্রহ করার জন্য টি.এস.সি চত্বরে বাঁধনের জোনাল অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।

 

রক্তদান প্রক্রিয়া

রক্ত দান করতে হলে প্রথমে তাদের ফরম পূরণ করতে হবে। যদি পরীক্ষায় রক্ত ভাল বলে প্রমানিত হয়, তাহলে তারা রক্ত নিয়ে থাকে। রক্ত সংগ্রহ করতে হলে মেডিক্যাল অফিসারের সিল ও স্বাক্ষর যুক্ত লিখিত ব্লাড রিকুইজিশন আনতে হবে। তবেই রক্ত গ্রহণ করা যাবে।

 

রক্ত সংগ্রহ প্রক্রিয়া

ক) সেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী আয়োজনে বাঁধন তাদের দল নিয়ে সহযোগিতা করার চেষ্টা করে।

খ) রক্ত দানের পর রক্ত দাতাদের জন্য গ্লুকোজের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।

গ) রক্ত সংগ্রহে সাধারণত সিরিঞ্জ ব্যবহার করা হয়। একটি সিরিঞ্জ একবার ব্যবহার করা হলে তা পুনরায় ব্যবহার করা হয় না।

ঘ) এখানে রক্ত সংরক্ষন প্রক্রিয়া ও প্রযুক্তি প্রচলিত নিয়মে করা হয়ে থাকে। রক্ত সংরক্ষনের জন্য CPDA-1 (ব্যাগ উন্নত মানের) ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

 

রক্ত সরবরাহ

এখানে সাধারণ মানুষ এবং গরীব-অসহায় মানুষের জন্য রক্ত সরবরাহ করা হয়। রক্ত সরবরাহকালে কেবলমাত্র রক্তের ব্যাগের দাম নেয়া হয়ে থাকে।

 

সদস্যপদ

বাঁধনে সেচ্ছাসেবকপদ বা সদস্যপদ পেতে হলে বাঁধনের নির্ধারিত ফরম পূরন করে সদস্য হতে হবে। বাঁধনের সদস্য হতে প্রার্থীকে অবশ্যই কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী হতে হবে।

 

অন্যান্য বৈশিষ্ট্য

ক) এখানে সব ধরনের রক্তের গ্রুপের রক্ত পাওয়া যায়।

খ) এখানে প্রক্রিয়াকৃত কোন রক্ত পাওয়া যায় না। এখানে দাতাদের দেওয়া তাজা রক্ত পাওয়া যায়।

গ) বাঁধন সংগঠনটি সম্পূর্ন সরকার অনুমোদিত একটি প্রতিষ্ঠান।

ঘ) চাহিদামত রক্ত পাওয়া না গেলে বাঁধন অন্যান্য রক্ত সংগঠনগুলোর শরণাপন্ন হয়ে রক্ত গ্রহীতাদের যথাসম্ভব সাহায্য করে থাকে।

 

বিশেষ সুবিধা

এখানে থেলাসেমিয়া রোগীদের জন্য কোন ছাড় দেওয়া হয় না। সাধারণ মানুষ ও গরীব অসহায়দের জন্য যথাসম্ভব ছাড় দেওয়া হয়ে থাকে।

এখানে নামমাত্র মূল্যে রক্ত পাওয়া যায়। রক্ত গ্রহীতাদের শুধুমাত্র রক্ত রাখার জন্য যে ব্যাগ সেই ব্যাগের বিল দিতে হয়। বিল পরিশোধের জন্য তাদের ফর্মের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করতে হয়।

 

খোলা-বন্ধের সময়সূচী

বাঁধন সন্ধ্যা ৬ টায় খোলা হয় এবং রাত ৯ টায় বন্ধ করা হয়। কারও যদি তৎক্ষনাৎ রক্তের প্রয়োজন হয় তাহলে হলগুলোতে যোগাযোগ করতে হবে।

 

গাড়ি পার্কিং

এখানে টি.এস.সি চত্বরে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে।

 

কোয়ান্টাম ব্লাড সেন্টার

একজন মানুষের রক্ত দিয়ে অন্য একজন মানুষকে মৃত্যুর মূখ থেকে ফিরিয়ে আনার ধারনাটা খুব বেশি দিনের পুরনো নয়। আধুনিক যুগের পূর্বে এরকম ধারনা অবিশ্বাস্য ও উদ্ভট হলেও আধুনিক যুগে বিজ্ঞানের কল্যানে এই অবিশ্বাস্য ধারনাটি সত্য। সমগ্রুপের রক্তের এক মানুষের রক্তে অন্য মানুষ প্রান ফিরে পাচ্ছে। ফলে সৃষ্ট হয়েছে ব্লাড ব্যাংক এবং চালু হয়েছে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসুচি। বাংলাদেশের রক্তদান সংশ্লিষ্ট স্বেচছাসেবী সংগঠনগুলোর পথ ধরেই কোয়ান্টাম ব্লাড সেন্টার ১৯৯৬ সালে স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম চালু করে। রক্ত সংগ্রহের জন্য কোয়ান্টাম একটি আস্থাশীল ব্লাড সেন্টার।

 

কর্তৃপক্ষ

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের আওতায় কোয়ান্টাম ব্লাড সেন্টার পরিচালিত হয়।

 

প্রধান কার্যালয়

৩১/ভি, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন সড়ক, (পুরাতন শান্তিনগর), ঢাকা - ১২১৭। (ইস্টার্ন প্লাস মার্কেটের পূর্ব পাশে)।

ফোন: ৮৩২২৯৮৭

মোবাইল: ০১৭১৪-০১০৮৬৯

 ই-মেইল: blood@quantammethod.org.bd.

ওয়েব সাইট: www.quantammethod.org.bd

 

শাখা

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের শাখা বাংলাদেশের অনেক জায়গাতেই রয়েছে। কিন্তু কোয়ান্টাম ব্লাডের একমাত্র শাখা রয়েছে শান্তিনগর এলাকায়। যেটি ইস্টার্ন প্লাস মার্কেটের পাশেই অবস্থিত।

 

সুবিধা সমূহ

  • এখানে প্রায় সব ধরনের রক্তের গ্রুপ-ই পাওয়া যায়।
  • এখানে প্রক্রিয়াকৃত প্রায় সব ধরনের রক্ত পাওয়া যায়। রক্ত দাতাদের কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহ করে তা ক্লিনিং করে বিশুদ্ধ করে রক্ত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রক্ত দিয়ে থাকে।
  • কেবলমাত্র যারা স্বেচ্ছায় রক্ত দিয়ে থাকে তাদের কাছ থেকে রক্ত নিয়ে রক্ত গ্রহীতাদেরকে প্রদান করা হয়।
  • স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচীতে কোয়ান্টাম ব্লাড সেন্টার তাদের দল বা টিম পাঠিয়ে যথাসম্ভব সহযোগিতা করার চেষ্টা করে।
  • রক্তদানের পর রক্তদাতার জন্য কোয়ান্টাম ব্লাড সেন্টার জুস এবং গ্লুকোজের ব্যবস্থা করে থাকে।
  • কোয়ান্টাম ব্লাড সেন্টার একটি সম্পূর্ণ সরকার অনুমোদিত রক্তদান কেন্দ্র।
  • রক্ত সংগ্রহে সাধারণত সিরিঞ্জ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। একটি সিরিঞ্জ একাধিকবার ব্যবহার করা হয় না।
  • কোয়ান্টাম ব্লাড সেন্টারের সদস্য হওয়া যায় না। রক্তদানের পর রক্তদাতা এই রক্তদান কেন্দ্রের ডোনার হিসেবে বিবেচিত হবে, যাতে ডোনাররা বিভিন্ন রকম সুবিধা ভোগ করতে পারে।

 

প্রযুক্তিগত দক্ষতা

রক্ত পরীক্ষা, স্ক্যানিং, ম্যাচিং ইত্যাদির জন্য ডিভাইস এবং (Rapid) প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

 

রক্তদান প্রক্রিয়া

রক্তদান করতে হলে তাদের ফরম পূরণ করতে হয়। রক্তে যদি কোন প্রকার জীবাণু থাকে তা বিশুদ্ধ করে তারা রক্ত দাতাদের কাছ থেকে রক্ত নিয়ে থাকে। রক্ত গ্রহণ করতে হলে মেডিকেল অফিসারের সিল ও স্বাক্ষরযুক্ত লিখিত ব্লাড রিকুইজিশন আনতে হবে, তবেই রক্ত গ্রহণ করা যাবে।

 

রক্ত সংরক্ষণ প্রক্রিয়া

রক্ত সংরক্ষণ ও প্রযুক্তি এফডিএ অনুমোদিত উন্নতমানের (সিপিডিএ-১) ব্যাগে স্বযত্নে (৩৭ সে. তাপমাত্রায় এবং ইনডাইরেক্ট কুম্বস টেষ্ট) সংরক্ষণ করা হয়।

 

রক্ত সংগ্রহ প্রক্রিয়া

  • রক্ত সংগ্রহ করার জন্য কোয়ান্টাম ব্লাড সেন্টারে যোগাযোগ করতে হবে। রক্ত সংগ্রহের জন্য কিছুক্ষণ সময় অপেক্ষা করতে হয়।
  • কোয়ান্টাম ব্লাড সেন্টারে কোন প্রকার অভিযোগ বক্স বা কেন্দ্র নেই।
  • রক্তগ্রহণ করতে হলে কাউন্টারে ৭৫০ টাকা জমা দিয়ে রক্ত গ্রহণ করতে পারবে।

 

বিশেষ সুবিধা

  • সাধারণ মানুষ এবং গরীব-অসহায় রোগীদের জন্য রক্ত সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
  • থেলাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীদের জন্য কোয়ান্টাম সেন্টার বিশেষ ছাড় দিয়ে থাকে।

 

খোলা-বন্ধের সময়সূচী

  • কোয়ান্টাম ব্লাড সেন্টার সপ্তাহে ৭ দিনই ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে।

 

গাড়ি পার্কিং

  • এখানে নিজস্ব কোন গাড়ি পার্কিং নেই।

পুলিশ ব্লাড ব্যাংক


বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ১ লাখ ৩৭ হাজার সদস্যসহ আপামর জনসাধারণের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে পুলিশ ব্লাড ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। “রক্তে মোরা বাঁধন গড়ি, রক্ত দেবো জীবন ভরি” এই স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১০ সালের ১২ ডিসেম্বর পুলিশ ব্লাড ব্যাংকের যাত্রা শুরু হয়। অপরাধ দমন, তদন্ত ও তথ্য উদঘাটনের মূল কাজের পাশাপাশি রক্ত আদান প্রদানের মাধ্যমে সর্বস্তরের জনগণের সাথে সৌহার্দ্য বৃদ্ধিও এই ব্লাড ব্যাংকের একটি উদ্দেশ্য। পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ ছাড়াও যেকোন ব্যক্তি এই ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্ত নিতে পারেন।

ঠিকানা কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, রাজারবাগ, ঢাকা। ফোন: ৯৩৬২৫৭৩, মোবাইল ফোন: ০১৭১৩-৩৯৮৩৮৬, ই-মেইল: info@policebloodbank.gov.bd, ওয়েব সাইট: www.policebloodbank.gov.bd
বর্তমান কার্যক্রম ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকাসহ দেশের প্রতিটি জেলায় পুলিশ ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্ত সরবরাহ করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে যারা রক্তদানে উৎসাহী তাদের তথ্য নিয়ে একটি ডাটাবেজ তৈরির কাজ চলছে এখন। এই ব্লাড ব্যাংক থেকে পুলিশসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষকে রক্তদানে উৎসাহিত করার জন্য প্রচারণাও চালানো হয়। এখানে রক্তের যথাযথ সংরক্ষণ এবং সঞ্চালনকে গুরুত্ব দেয়া হয়। গরীব রোগীদের বিনামূল্যে রক্ত দেবার ব্যবস্থাও আছে এখানে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা পুলিশ ব্লাড ব্যাংককে ডিজিটাল ব্লাড ব্যাংক হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। এখানকার কম্পিউটারাইজড ডাটাবেসে রক্তদাতার রক্তের গ্রুপ এবং যোগাযোগের ঠিকানাসহ প্রয়োজনীয় তথ্য যুক্ত করা হচ্ছে। দেশব্যাপী একটি কার্যকরী ব্লাড ডোনার পুল গড়ে তোলার চেষ্টা করছে পুলিশ ব্লাড ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পর্যায়ক্রমে সকল বিভাগীয় সদরে স্থায়ী শাখা প্রতিষ্ঠা করা হবে। এছাড়া কমিউনিটি পুলিশের মাধ্যমে ওয়ার্ড, স্কুল ও কলেজভিত্তিক কমিটি গঠন করে রক্ত সংগ্রহের জন্য প্রচারণা চালানোর পরিকল্পনাও রয়েছে পুলিশ ব্লাড ব্যাংক কর্তৃপক্ষের। 

 


রেড ক্রিসেন্ট ব্লাড ব্যাংক সোসাইটি

আর্ত মানবতার সেবায় সদা নিয়োজিত রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি মুমূর্ষু রোগীদের রক্তের প্রয়োজন মেটাতে তৈরি করেছে ব্লাড ব্যাংক। ১৮৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রেড ক্রসেরই শাখা রেড ক্রিসেন্ট। মূলতঃ রেড ক্রসই মুসলিম বিশ্বে রেড ক্রিসেন্ট নামে পরিচিত।

 

কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী চালু করে।

কার্যালয়  ৭/৫, আওরঙ্গজেব রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা – ১২০৭ ফোন: ০২-৮১২১৪৯৭, ০২-৯১১৬৫৬৩। ৬৮৪-৬৮৬ বড় মগবাজার ঢাকা, বাংলাদেশ জাতীয় সদরদপ্তর। ফোন: +880-2-9116563, +880181-1458524 ওয়েব সাইট: www.bdrcs.org

শাখা  রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির বাংলাদেশে জেলা শহরে আরও ৫টি শাখা রয়েছে। শাখাগুলো হল ঢাকা, সিলেট, কুমিল্লা, দিনাজপুর ও যশোর।

খোল-বন্ধের সময়সূচী  রেড ক্রিসেন্ট রক্তদান কেন্দ্র সপ্তাহে ৭ দিনই ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে। 

 

 সন্ধানী

সন্ধানী বাংলাদেশের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

 

যাত্রা  ১৯৭৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশে স্বেচ্ছায় রক্তদান আন্দোলনের পথিকৃৎ “সন্ধানী”. বন্ধুর প্রতি ৬ জন উদ্যমী তরুণের অকৃত্রিম ভালবাসা থেকে জন্ম নেয় ঢাকা মেডিকেল কলেজের এই উজ্জ্বল নক্ষত্রটি। আর্থিক অনটনে জর্জরিত ২য় বর্ষের এক ছাত্রের সকালের নাস্তার টাকা যোগাড় করে দেয়ার মাধ্যমে হঠাৎ করেই সন্ধানীর আত্মপ্রকাশ। আত্মপ্রকাশের পরবর্তী এক বছর বিভিন্ন ধরনের সমাজসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করলেও ‘স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী’ সন্ধানীর কার্যক্রমের আওতাভুক্ত ছিল না। ১৯৭৮ সালের ২রা নভেম্বর ডিএমসিএইচ ব্লাড ব্যাংকে সন্ধানী প্রথমবারের মত ‘স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচীর’ আয়োজন করে এবং পরবর্তীতে এই দিনটিকেই ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস’ হিসেবে পালন করার ঘোষণা দেয়া হয়।

ইউনিট  ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে সন্ধানীর ১৮টি ইউনিট বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে একযোগে কাজ করছে। সন্ধানী মূলত মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ছাত্রছাত্রী দ্বারা পরিচালিত একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি ইউনিটের কার্যক্রম পরিচালিত হয় ঐ নির্দিষ্ট ইউনিটের ছাত্রদের নিয়ে গঠিত ২৩ সদস্যের একটি কার্যকরী কমিটির মাধ্যমে আর সবগুলো ইউনিটকে সমন্বয় করার জন্য গঠন করা হয়েছে একটি ‘কেন্দ্রীয় পরিষদ’. সন্ধানীর সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি ও সন্ধানী ডোনার ক্লাব সমূহ। প্রতিবছর সন্ধানী গড়ে ৪০,০০০ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করে। যা দেশের চাহিদা অনুযায়ী অনেক কম হলেও দেশের রক্তের অভাব পূরণে এক দৃঢ় ভূমিকা পালন করছে।

যোগাযোগ: উপরে রক্তের প্রয়োজন হলে ফোন করুন অধ্যায়ে সন্ধানীর যোগাযোগের নাম্বারগুলো দেয়া হয়েছে।

লায়ন্স ব্লাড ব্যাংক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম ও আশপাশের কারও রক্তের প্রয়োজন মেটাতে ১৯৯১ সালে যাত্রা শুরু করে। এখান থেকে দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে রক্ত দেওয়া হয়। তবে যারা ক্রসমেচিং ও প্রসেসিং খরচ দিতে সক্ষম তাদের কাছ থেকে খরচ নেওয়া হয়।
যোগাযোগ : চট্টগ্রাম লায়ন্স ফাউন্ডেশন(সিএলএফ)। জাকির হোসেন রোড, নাসিরাবাদ
লায়ন্স চক্ষু হাসপাতাল, চট্টগ্রাম। ফোন: ০১৫৫৪৩১৬০৯৫।
খোলা-বন্ধের সময়সূচী : সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
রক্তদান করার ইচ্ছা থাকলেও তথ্যের অভাবে অনেকে রক্ত দিতে পারেন না। যারা স্বেচ্ছায় রক্তদান করতে চান তারা যোগাযোগ করতে পারেন উল্লেখিত ঠিকানায়। এছাড়া ১লা বৈশাখ, একুশে বইমেলা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাসহ বিভিন্ন সময় এসব প্রতিষ্ঠান মাসব্যাপী ব্লাড ক্যাম্পের আয়োজন করে থাকে।

মনে রাখুন:
* জরুরি রক্তের প্রয়োজনে অবশ্যই চিকিৎসক/মেডিকেল অফিসার স্বাক্ষরিত রিকুইজিশন পেপার সঙ্গে আনুন।
* রক্তদাতা হলে ডোনারকার্ড যত্ন করে রাখুন।
* স্ক্রিনিং ছাড়া রক্ত দেবেন না, রক্ত নেবেন না। এমনকি প্রিয়জনের রক্ত হলেও না।
* মাদকাশক্ত বা সন্দেহজনক কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে রক্ত নেবেন না। কারণ এ রক্তে থাকতে পারে প্রাণঘাতি ব্যাধি হেপাটাইটিস বি বা সি, এইডসসহ নানান প্রকার সংক্রামক ব্যাধি।
* প্রতিবার রক্তদানের পরবর্তী কয়েকদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন।